সোমবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০২০

সিমেন্ট ব্যাগের ক্ষেত্রফল (ভলিউম)


আমরা জানি যে, খোলা অবস্থায় সিমেন্টের ওজন (ঘনত্ব) = 1440 কেজি / মি৩ (kg/m3) …… .. (1)
আমরা জানি যে, ঘনত্ব = ভর / আয়তন
সুতরাং, আয়তন = ভর / ঘনত্ব …… .. (2)
1 ব্যাগ সিমেন্টের ভর = 50 কেজি …… .. (3)
সমীকরণ অনুযায়ী  (3) কে (1) দ্বারা ভাগ করে,
ভলিউম = 50/1440 কিউবিক মিটার( Cum)
= 0.034722 কিউবিক মিটার( Cum)

ভলিউম কে লিটারে প্রকাশ করলে = 0.034722 x 1000 = 34.722 লিটার( Lit)
অর্থাৎ বলা যায়, 35 লিটার
কিউবিক মিটারকে (Cft) সিএফটিতে রূপান্তর করতে চাইলে 35.3147 দিয়ে গুণ করতে হবে
সুতরাং,
ভলিউম = 0 .0347 x 35.314 = 1.22539 সিএফটি(Cft)
= 1.225Cft
অর্থাৎ বলা যায়,  1.25 সিএফটি(Cft)

প্রতি 50 কেজি সিমেন্টের ব্যাগে 1.25 Cft এর সমতুল্য সিমেন্ট আছে । এ কারণেই স্ট্যান্ডার্ড জিগুয়েজ বক্সের( guage box) আকার (বাংলায় ফারমা বক্স নামেও পরিচিত) 1 ফিট x 1 ফিট x 1.25 ফিট আকারের হয়। অর্থাৎ বাক্সটির মাপ হবে 12" x 12" x15 " । ব্যাবহারিক ক্ষেত্রে এই বাক্সটি প্রচুর ব্যাবহার হয় ।

যদি একটি সিমেন্ট ব্যাগের আকার 30 ইঞ্চি (2.5ft বা 0.762 মিটার) উচ্চতা, 20 ইঞ্চি (1.67ft বা .508 মিটার) প্রস্থ এবং 4 ইঞ্চি (0.33ft বা 0.104 মিটার) পুরু হয় তাহলে এতে 50 কেজি সিমেন্ট রাখা সম্ভব হবে।





শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০২০

গ্রাইন্ডিং বলের ঘনত্ব ও ক্ষেত্রফল



কর্মক্ষেত্রে  একটি গ্রাইন্ডিং বলের পৃষ্ঠের ক্ষেত্রফল এবং ঘনত্ব বা ভলিউম জানা সময় সময় প্রয়োজন হয়ে পরে।   বল মিলে  মিডিয়া পুনরায় লোড করার জন্য, গুছিয়ে রাখার সময় কি ধরনের ও কয়টি ধারক প্রয়োজন বা বলের শ্রেনীবিন্যাস করা ইত্যাদি বিবিধ প্রয়োজনে  দ্রুত এবং সঠিক গণনার প্রয়োজন হয় । যার কারনে আমাদের গ্রাইন্ডিং বলের ভলিওম ও সারফেইস এরিয়া হিসাব করার সহজ ও সঠিক নিয়মটা আমাদের সবার জানা থাকা ভালো।

সারফেইস এরিয়া বা গোলক অঞ্চল  (একটি গ্রাইন্ডিং বলের পৃষ্ঠের ক্ষেত্রফল), S একটি মান যা বলের ক্ষেত্রফল নির্ধারণ করে।  গণনার সূত্রটি নিম্নোক্ত:-

S=4*π*R2,

এখানে ,
S – সারফেইস এরিয়া বা গোলক অঞ্চল;
π – PI পাই (ধ্রুবক), একটি গাণিতিক ধ্রুবক যা বৃত্তের পরিধিটির ব্যাসের অনুপাতের সমান। ৩.১৪ পাই  এর জন্য সাধারণত ব্যবহৃত মান;
R-  বলের ব্যাসার্ধ।


একটি গ্রাইন্ডিং বলের ভলিউম বা বলের আয়তন সূত্র নিম্নরূপ:

V=4/3*π*R3,

এখানে,
V- বলের আয়তন
π – PI পাই (ধ্রুবক), একটি গাণিতিক ধ্রুবক যা বৃত্তের পরিধিটির ব্যাসের অনুপাতের সমান। ৩.১৪ পাই  এর জন্য সাধারণত ব্যবহৃত মান;
R-  বলের ব্যাসার্ধ।

আশা করছি  সহজ সূত্রটি সবার খুব কাজে লাগবে ।

বুধবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০২০

রেসিডিউ (Residue) কি?

Residue শব্দের অনুবাদ দাঁড়ায় অবশিষ্টাংশ । আসলে পুরো শব্দটি হলো  Insoluble residue যার অর্থ অদ্রবণীয় অবশিষ্টাংশ, এটি একটি নন-সিমেন্টিং উপাদান যা পোর্টল্যান্ড সিমেন্টে উপস্থিত। নন-সিমেটিক বলতে সাহজভাবে আমরা বলতে পারি এগুলো  এমন কিছু উপাদান যা কোনো ভাবেই সিমেন্টের অংশ না কিন্তু ক্লিংকার তৈরির সময় এগুলো মিশে যায়।
এই অবশিষ্ট উপাদানগুলি সিমেন্টের বৈশিষ্ট্যগুলিকে প্রভাবিত করে, বিশেষ করে  এর শক্তি সঞ্চয়ের বাধা তৈরি করে। পোর্টল্যান্ড সিমেন্টে নন-সিমেন্টিং উপাদানগুলি নিয়ন্ত্রণ করতে, এএসটিএম(ASTM) একটি মানদন্ড বা  স্ট্যান্ডার্ড নির্ধারন করে দিয়েছে যাতে অদ্রবণীয় অবশিষ্টাংশগুলি 0.75% এর বেশি হতে পারবে না। কিন্তু ব্রিটিশ স্ট্যান্ডার্ডে এর সীমাবদ্ধতা 1.5%।

যেহেতু উভয়ই কণার আকারের একটি পরিমাপ, তাই অবশিষ্টাংশগুলি সাধারণত ব্লেইনের সাথে যুক্ত থাকে। তবে সব সময় না।
আরো বিভিন্ন কারনে সিমেন্টের কণা আকার ও রেসিডউ নির্ভর করে যেমন, মিল ডিজাইন, বল চার্জ , ক্লিঙ্কার কঠোরতা, জিপসাম সামগ্রী এবং ক্লিংকার তৈরিতে ব্যবহৃত খনিজ উপাদানগুলির( চুনাপাথর) পরিমাণ এবং সেগুলো কতটা শক্ত  এই প্রকার বিভিন্ন বিষিয়ের উপর।

সিমেন্টের অবশিষ্টাংশ করার পদ্ধতি:
যা যা লাগবে,
সিমেন্টের 100 গ্রাম (পরীক্ষার নমুনা), ওজন মাপার যন্ত্র ( যা ১গ্রাঃ) নির্ভুলতার সাথে ওজন করতে পারে, স্ট্যান্ডার্ড চালুনি 90=মাইক্রোন , চালনী কাঁপানো মেশিন (ঐচ্ছিক)
নিয়মঃ-
1. সিমেন্টের নমুনা নিন এবং আপনার হাত দিয়ে সিমেন্টটি ঘষুন। পরীক্ষার নমুনা দানামুক্ত থাকতে হবে।
2. এখন 10 গ্রাম সিমেন্ট নিন এবং এটি  W1 হিসাবে নোট করুন।
3. 90 মাইক্রোন  চালনিতে 10 গ্রাম সিমেন্ট নিয়ে ঢাকনা বন্ধ করুন।
৪. এবার চালুনি কাঁপানো মেশিনে চালুনিটি দুই মিনিটের জন্য রাখুন। আপনি এটা হাতেও করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে ১৫ মিনিটের জন্য চালনীটি নাড়াতে হতে হবে।
৫. এরপরে,  চালনীতে থাকা অবশিষ্টাংশ ওজন করতে হবে যা  W2 হিসাবে নোট করি ।
অবশিষ্টাংশের শতাংশ=  W2*10
যদি W2 এর ওজন যদি .0462 হয় তাহলে রেসিডিও হবে (0.0462*10)=0.462 %
অর্থাৎ যদি ১০ গ্রামে রেসিডিও Z গ্রাম হয় তাহলে ১০০ গ্রামে রেসিডিও (Z÷১০)×১০০=K%
এটা থেকে আমরা ফাইন সিমেন্টের পরিমানের শতাংশেরও পরিমাপ করতে পারি,          
 (W1-W2)÷ W1×100
 ৷ 





সোমবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০২০

সার্কোলেটিং লোড (Circulating Load) কি?


সার্কোলেটিং লোড বলতে সহজ ভাষায় যা বুঝায় তা হলো , ফিডের কি পরিমান বা কত শতাংশ সিমেন্ট বারংবার  মিলে ফেরত আসে তার পরিমান।  গানিতিক ভাবে অনেকটা এভাবে লিখা যায়, কোর্স ফেরত (টন প্রতি ঘন্টা)* ১০০/ মিল থেকে যা বের হয় (টন প্রতি ঘন্টা)। সাধারণত ক্লোজ সার্কিট মিলে সার্কোলেটিং লোড করা হয়, প্রচলিত লোডের সাধারণ পরিসীমা প্রায় 100-200% হয়।
সার্কোলেটিং লোড রেশিও (সিএলআর) বলতে, বল মিলের মধ্য দিয়ে কি পরিমান কাচামাল প্রবেশকরে ও কি পরিমান মাল আবার আরো ফাইন হওয়ার জন্যে মিলে ফেরত আসে তার পরিমানের অনুপাতকে বুঝায়।সার্কিটের মধ্য দিয়ে আবর্তীত হওয়ার পরিমাণ জানা বিভিন্ন কারনে প্রয়োজন,যেমন, এটার উপর ভিত্তি করে উৎপাদন বৃদ্ধির জন্যে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা করা যায়, মিলের ভিতরে বলচার্য করতে হবে কি না তার সম্পর্কে ধারনা করা যায়।গানিতিক ভাবে বলতে গেলে সার্কোলেটিং লোডের অনুপাত হলো [সার্কোলেটিং লোড÷নতুন ফিড(কাচামালের পরিমাণ)] । প্রচলিত লোড রেশিও সমীকরণটি নিম্নরূপ,
(S/F)= (M-O)÷(S-M)



এখানে এমন একটি সূত্র নিয়ে আলচনা করবো যার দ্বারা একটি  ক্লোজ সার্কিট গ্রাইন্ডিং মিল যাতে একটি স্লাইক্লোন সেপারেটর ব্যাবহার করা হয়েছে তার সার্কোলেটিং লোডের অনুপাত বের করা যাবে।
আপনার বল মিলটিতে স্লাইক্লোন সেপারেটর সেট সহ একটি ক্লোজড সার্কিটে মিল। গ্রাইন্ডিং মিলে ফিড/কাচামাল হিসাবে ক্রাশ করা ক্লিংকার ব্যাবহার করা হয়। আমরা ৮ ঘন্টার একটি সিফটের ডাটা সংগ্রহ করে তাকে টন/দিন বা টন/ঘন্টার হিসাবে বের করতে পারবো ।

মূলত তিনটি জায়গা থেকে স্যাম্পল সংগ্রহ করতে হয় এবং তার রেসিডিউ নির্নয় করতে হবে । প্রথম হলো মিলের আউটলেট (চিত্রে M), দ্বিতীয়টি হলো যে পাইপ দিয়ে সেপারেটর থেকে মাল আবার মিলের ইনলেটে ঢুকে সেটা ( চিত্রে S) তৃতীয়টি হলো যে সিমেন্ট সাইলোতে যায় তার স্যাম্পল (চিত্রে  O) । স্বাভাবিক ভাবেই বুঝা যায় চিত্রে S থেকে যে স্যাম্পলটি নেয়া হবে তাতে রেসিডিও থাকবে সবচেয়ে বেশী কারন এতে ফাইন সিমেন্ট নেই বললেই চলে। তার পরে রেসিডিউ বেশী থাকবে আউটলেট স্যাম্পলে বা চিত্রে M-এ কারন এতে ফাইন এবং রেসিডিউ দুটোই আছে। সবচেয়ে কম রেসিডিউ থাকবে চিত্রে  O-এ । কারন M-এর সিমেন্ট থেকে S-এর রেসিডিউ বের করার পরে O-এ খুব সামান্য পরিমানেই রেসিডিউ থাকবে।
তাহলে একেবার সহজে আমরা সূত্রটি লিখতে পারি এভাবে ঃ-
সার্কোলেটিং লোড=(মিলের আউটলেট - ফাইন সিমেন্ট)÷(রিটার্ন বা কোর্স সিমেন্ট – আউটলেট)

উদাহরণঃ বল মিলটি স্লাইক্লোন সেপারেটর সেট সহ একটি ক্লোজড সার্কিটে মিল, যার উৎপাদন ক্ষমতা ১০০০ টন/দিন । এখানে আমরা M,S, এবং O যে সেম্পল নিয়েছি তার রেসিডিও 17.226 , 30.343 এবং 0.462 ।
Circulating Load= (M-O)÷(S-M)
(17.226-0.462) ÷ (30.343-17.226) = 1.278 বা 128%
এবং সার্কোলেটিং লোড টি টনে প্রকাশ করলে  1.278 × 1000 = 1278 টন/দিন