বৃহস্পতিবার, ৪ অক্টোবর, ২০১৮

কেন মিল লোড বা অতিরিক্ত ভর্তি হলে মেইন মটর কারেন্ট কম নেয় ( এম্পেয়ার কমে)


যখন বল মিল বা সিমেন্ট গ্রাইন্ডিং মিল লোড অর্থাৎ অতিরিক্ত ভর্তি হয়ে যায়  তখন এটি কেবল একটি ড্রামের মত আচরন করে বা ঘুরে। বল মিলের মুল কাজ হচ্ছে কাচামালের উপর বল গুলোকে ক্রমান্বয়ে ছুরে মারা। এই কাজটি লোড মিলে সম্পুর্ন বন্ধ হয়ে যায়। কাচামাল(ক্লিংকার,গিওসাম,স্ল্যাগ ইত্যাদি) আর বলগুলো একসাথে মিলের নিচের অংশে জমা হয়ে নড়তে থাকে অনেকটা তেল ভর্তি ড্রাম ঘুরালে তেল যে আচরন করে অনেকটা সেই রকম ।

বলমিলের ভিতরে লাইনারে বিন্যাস( Cascading)আর মিলের ঘূর্নন গতির কারনে, মিল যখন ঘুরে তখন ভিতরের বলগুলোও লাইনারের সাথে অর্ধপরিধির সমান উঠে আর প্রায় ৪৫ ডিগ্রী কোনে ক্লিংকারের উপর আঘাত করে এবং এভাবে ক্রমান্বয়ে আঘাতের ফলে ক্লিংকার গুরো হয়। যে কোন মটরের বিশিষ্ট হচ্ছে যখন সে কোন ওজন উত্তলন করে তখন তার শক্তি বেশী খরচ হয় অর্থাৎ সে বেশী কারেন্ট খরচ করে। যেহেতু গ্রাইন্ডিংয়ের সময় মিল বল গুলোকে উপরে  তুলছে সেহেতু  সে স্বাভাবিক ভাবেই শক্তি বেশী খরচ করছে। 

অর্থাৎ গ্রাইন্ডিং বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারনে  লোড বলমিল কম কারেন্ট (এম্পিয়ার কম) নেয় । আর যখন মিলে বল আর কাচামালের অনুপাত সঠিক থাকে তখন গ্রাইন্ডিং ভাল হয় আর মিল এম্পিয়ার বেশী নেয়।


শুক্রবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

সিমেন্টর তাপমাত্রা


গভেষনায় এটি  দেখা গেছে যে, বল মিলের ৮৫% এর বেশি শক্তি তাপ রূপান্তরিত হয় বল একে অপরের সাথে ঘর্ষনের কারনেই  তাপ  উৎপন্ন  হয় সিমেন্টৎ মিলের তাপমাত্রার  সাধারণ  নির্দেশিকা  নীচে  দেওয়া  হল:

মধ্যবর্তী ডায়াফ্রাম - প্রায়  ১০০ (ডিগ্রী সেঃ ) তাপমাত্রা থাকে।
মিল স্রাব /আউটলেট (পণ্য বা বায়ু) -  মিলের আউটলেটের সিমেন্টের তাপমাত্রা সাধারণত ১০০~১২০ [ডিগ্রি সেলসিয়াস] হয়ে থাকে। আর আউটলেটের বাতাসের তাপমাত্র ,সিমেন্টের তাপমাত্রা থেকে সাধারণত [ডিগ্রি সেলসিয়াস] কম হয়ে থাকে।

 তাপমাত্রা বেশীহলে তা  নিয়ন্ত্রণ করতে সাধারণত :
  বিভাজক (এয়ার সেপারেটর)এর মধ্যে বায়ু  অর্থাৎ শীতল ও শুষ্ক বায়ু প্রবেশের ব্যাবস্থা করা হয়।
 সিমেন্ট শীতল করার জন্যে এখন কিছু ম্যাশিন ব্যাবহার করা হয়। যদিও আমাদের দেশে এর ব্যাবহার নেই।
৩ মিলের ইনলেট দিয়ে যাতে প্রচুর শুষ্ক ও তুলনামূলক শীতল বাতাস ঢুকতে পারে তার ব্যাবস্থা করা হয়।   জন্য প্রয়োজন
৪ পানি ছিটানো যদি তাপমাত্র কোনভাবেই কমানো না যায় শুধুমাত্র তখনই এই পদ্ধতি ব্যাবহার করা হয়।সাধারনত ক্লিংকারের তাপমাত্রা ১০০সে] এর উপরে হলে এই পদ্ধতিটি প্রয়োগ করা হয় ।

সাধারত আউটলেটের সিমেন্টের তাপমাত্র ৮৫ থেকে ৯৫ সে] এর মধ্যেই থাকে। 

সোমবার, ৩০ এপ্রিল, ২০১৮

সিমেন্ট মিলের / বল মিলে বল চার্জ পদ্ধতি


সিমেন্ট গ্রাইন্ডিং মিলের (বল মিলে)বল চার্জ পদ্ধতি :


একটি সিমেন্ট প্ল্যান্টে মোট বিদ্যুৎ খরচের প্রায় ৪০% বিদ্যুৎ বিল আসে গ্রাইন্ডিংমিল বা বল মিল থেকে একটি সিমেন্ট মিলের খরচ নিয়ন্ত্রণ এবং সঠিক অপারেশন জন্য অর্থাৎ মান সম্মত সিমেন্ট তৈরিতে, গ্রাইন্ডিং মিডিয়া আকার এবং আকারের পরিসীমা অর্থাৎ বিভিন্ন প্রকার বলের সঠিক অনুপাত একটি অত্যাবশ্যক এবং প্রধান ভূমিকা পালন করে। গ্রাইন্ডিং মিডিয়ায় বা বল তখনই বেশী কার্যক্ষম থাকবে যতক্ষন পর্যন্ত বলগুলো পরিস্কার থাকবে।তাই বলের উপর যাতে কোনরকম আবরন বা কনোকিছুর প্রলেপ যাতে তৈরি না হয় তার দিকে লক্ষ রাখতে হবে।উপর যেকোন ধরণের আবরনে বলের কার্যক্ষমতা তথা সিমেন্ট মিলের কার্যক্ষমতা হ্রাস পাবে, যথা উৎপাদন ক্ষমতা কমে যাওয়া , উচ্চ মাত্রায় বিদ্যুতের ব্যাবহার  গ্রাইন্ডিং মিডিয়া আবরন মুক্ত রাখার জন্য যথাযথ গ্রাইন্ডিং এডস(উপকরন) ব্যবহার করা প্রয়োজন এবং উপকরনগুলো অবশ্যই পানি মুক্ত থাকতে হবে

এখানে সিমেন্ট মিলে সঠিক পরিমানে বল চার্জের একটি পদ্ধতি বর্ননা করা হল

ধাপ :-প্রথমে নীচের চিত্রের মত করে সিমেন্ট বল মিলের একটি চিত্র অংকন করুন,
ভরাটের স্তর (Filling  Level)

সংগা অনুযায়ি, ভরাটের স্তরের অনুপাত হচ্ছে : বলের ঘনত্ত/মিলের ঘনত্ত
মিলের আকারকে একটি যথার্থ নলাকৃতি হিসাবে ধারনা করলে ,  ভরাটের স্তরের অনুপাত হচ্ছে Sb/St


বল চার্জ গণনা পদ্ধতি


মিডিয়া (বল) চার্জ গণনা  পদ্ধতি

ব্যাচ মিলের জন্য মিডিয়া চার্জ গণনা করতে।  M = 0.000929 x D2 x L
{ ব্যাচ মিল - একটি পিষন যন্ত্র (গ্রাইন্ডিং মিল) যা  সাধারণত নলাকার, যা মধ্যে আয়রন  বা সিরামিকের বল থাকেকাচামাল মিলের ভিতর রাখার পর একটি নির্দিষ্ট সময় একটি নির্দিষ্ট গতিতে ঘুরার পর মিলের ভিতরের সব উপাদান (কাচামাল ও বল) এক সাথে বের করে আলাদা করা হয় এই মিলে কোন ভাগ নেই (চেম্বার নেই)}


এখানে :-
M = গ্রাইন্ডিং মিডিয়ার পরিমান (কে জি)
D = মিলের অভ্যন্তরীণ ব্যাস (ডায়া)( লাইনার থেকে লাইনার)  
L =  মিলের অভ্যন্তরীণ দৈর্ঘ্য। ( লাইনার থেকে লাইনার)

উদাহরণ –একটি ব্যাচ টাইপ বল্ মিল যার দৈর্ঘ ১৮০ সেমি  এবং ডায়া (ব্যাস) ১৮০ সেন্টিমিটার  আর এর লাইনার ৫০ মিমি পুরুএই ল মিলের জন্য গ্রাইন্ডিং মিডিয়া লাগবে  ,

ব্যবহার করা সূত্র হল  M = ০.০০০৯২৯ x D2 x L
D = ১৮০ - ১০ = ১৭০ cm
L = ১৮০ - ১০ = ১৭০ cm

মিডিয়া পরিমাণ  ০.০০০৯২৯ x (১৭০)2 x ১৭০
= ৪৫৬৪ কেজি


ক্রমাগত টাইপ বল মিলের জন্য পিণ্ডী মিডিয়া চার্জ গণনা করতে,  M = .০০০৬৭৬ x  D2 x L
{ক্রমাগত টাইপ (কন্টিনিওয়াস টাইপ)মিল -এই পিষন যন্ত্রে উৎপাদন ক্রমশ চালু থাকেসাধারণত নলাকার, যা মধ্যে আয়রন  বা সিরামিকের বল থাকেকাচামাল মিলের এক দিক দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে এবং আরেকদিক কিয়ে প্রক্রিয়াযাত হয়ে বের হয় একটি অনির্দিষ্ট সময় একটি নির্দিষ্ট গতিতে ঘুরাতে থাকে }

উদাহরণ ঃ ধরা যাক একটা বলমিলের এফেক্টিভ (লাইনিং ব্যাতিত) ব্যাস ও দৈর্ঘ নিম্নরুপ। তাহলে আমাদের কি পরিমান বল লাগতে পারে আমরা হিসব করবো ।

                                 ব্যাস (সি এম)                       দৈর্ঘ                 
১ম চেম্বার                          ৪৮৮                              ৫২৮                           
২য় চেম্বার                          ৪৮৮                             ৯৫৮                          

১ম চেম্বারে বল লাগবে    

M = 0.000৬৭৬ x  D2 x L
M = 0.000৬৭৬ x  (৪৮৮)২ x ৫২৮
  = 0.000৬৭৬ x ৪৮৮x ৪৮৮x ৫২৮
  = ৮৬২৪৭ কে জি
  ৮৬.২৫ টন


১ম চেম্বারে বল লাগবে    

M = 0.000৬৭৬ x  D2 x L
M = 0.000৬৭৬ x  (৪৮৮)২ x ৯৫৮
  = 0.000৬৭৬ x ৪৮৮x ৪৮৮x ৯৫৮
  = ১৫৬৫০৫ কে জি
   = ১৫৬৫১ টন

  

শুক্রবার, ২৭ এপ্রিল, ২০১৮

মিল এর অভ্যন্তরীণ গঠন।




মিল এর অভ্যন্তরীণ গঠন

সূচনা :

একটি বল মিলের অভ্যন্তরীণ গঠনকে মুটামুটি ৪টি ভাগ করা যায়  
:
·         হেড লাইনার (Head liners )
·         শেল লিনিংস (Shell linings)
·         ডায়াফ্র্যাম (Diaphragms)
·         গ্রাইন্ডিং মিডিয়া  ( Grinding media) 

যে সকল প্রথান কারনে মিলের অভ্যন্তরীণ ডিজাই এই রুপে করা হয় তা নিমরুপ 
:
·         বল মিলের  শেল রক্ষা করার জন্য
·         বল মিলের জীবন দীর্ঘ করে
·         উৎপাদন খরচ (অপারেটিং খরচ) কমানোর জন্য
·         মিলের বিদ্যুৎ খরচ কমানোর জন্যে
·         উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য
মিলের অভ্যন্তরে স্কেচ :