বাংলাদেশে সাধারণত, সাধারণ পোর্টল্যান্ড সিমেন্ট, রাজমিস্ত্রির সিমেন্ট, পোর্টল্যান্ড স্ল্যাগ সিমেন্ট এবং সাদা সিমেন্ট তৈরি হয়। বাংলাদেশের সিমেন্ট
উৎপদক প্রতষ্ঠান গুলো সিমেন্টকে মূলত দুই ভাগে ভাগ করে।
১) সাধারণ পোর্টল্যান্ড সিমেন্ট বা Ordinary Portland Cement (OPC) এবং
২) পোর্টল্যান্ড মিশ্র সিমেন্ট বা Portland
Composite Cement (PCC)
OPC বা সাধারণ পোর্টল্যান্ড সিমেন্টঃ
শুধু মাত্র ক্লিংকার ও জিপসাম মিশিয়ে এই সিমেন্ট
তৈরি হয়।সাধারণত ক্লিংকার ৯৫-৯৮% ও জিপসাম
৫-২% পর্যন্ত এই সিমেন্টে ব্যাবহার কর হয়ে থাকে। তুলনা মূলক ভাবে এই সিমেন্টের
মূল্য বশী । বর্তমানে দেশের খুব কম সিমেন্ট কারখানা এই সিমেন্ট উৎপাদন করে।
বাংলাদেশে এই সিমেন্টের বাজার খুব ছোট । বাংলাদেশে যে সকল কারখানা এই সিমেন্ট
উৎপাদন করে তাদের মধ্যো আরামিট সিমন্ট লিঃ অন্যতম। এই প্রতষ্ঠান তাদের উৎপাদিত
সিমেন্টের একটি বড় অংশ নিজেদের এসবেস্টর সীট কারখানায় ব্যাবহার করে বাকি অংশ দেশের
বাজারে ও ভারতে রপ্তানী করে।
(PCC) বা পোর্টল্যান্ড মিশ্র সিমেন্টঃ
ক্লিংকার
ও জিপসামের সাথে অন্য যে কোন উপাদান মিশিয় যে সিমেন্ট তৈরি হয় তাহাই PCC সিমেন্ট। বাংলাদেশে সাধারনণত স্ল্যাগ,লাইম স্টোন, ফ্লাই এস ও পজলনা মশনো হয়। সাধারণত
ক্লিংকার ৭০-৮৫% , জিপসাম ২-৩% এবং বাকি অংশ অন্যান উপাদান বিভিন্ন অনুপাতে এই
সিমেন্টে ব্যাবহার কর হয়ে থাকে। যেহেতু বাংলাদেশের বেশীরভাগ কারখানা বিভিন্ন সময়
বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা ক্লিংকার ব্যবহার করে থাকে সেকারনে মিস্রনের অনুপাত
ক্লিংকারের ধরণের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন রকম হয়। কারখানা গুলো তাদের নিজস্ব পরিক্ষাগারে
পরীক্ষা নিরীক্ষা করে এই অনুপাত নির্ধারণ করে। কিন্তু সব গুলো কারখানাই তাদের
উৎপাদিত সিমেন্টে বাংলাদেশের স্ট্যান্ডার্ড (BSTI) ও ব্রিটিশ স্ট্যান্ডার্ড(BS) অনুসরণ করে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন